তুই চিত্রপটে চঞ্চল আমার চোখে আঁকা জ্বালা
তুই শ্রাবণেরই গান আর আকাশের ঐ তারা,
তুই অদৃশ্য অরন্যের দেশের পুতুল পুতুল খেলা
দেহের অতীত ক্রোধের বাণী, ক্ষণে ক্ষণে জ্বালা,
আমার সাজের বেলায় কেন ঘন কালোর মেলা
তোমার সন্ধ্যে সাজায় নিলা কারে পরায় মালা।
তোমার প্রেমের পথিক প্রেমী আমি যে দেওয়ানা
মনের নিখিল প্রাণের প্রীতি, তবু কেন একা,
নীলচে কাঁচে রাখবো তোর ঐ শহরটাকে ঢেকে
আমার দু'চোখ ভিজুক না হয়
ঝাপসা মেঘের শোকে।।
তুই বাধনহারা মেঘের ধনী, প্রেতের পিপাসা
হৃদয় বনের দক্ষিণ বাতাস, তীব্র লালসা,
তুই সর্বকুলের পেক্ষম মেলা পিসাচরুপী দাসী
ভয়ংকরী স্তব্দ নিশীর উদাস সরসী।
আমার সাজের বেলায় কেন ঘন কালোর মেলা
তোমার সন্ধ্যে সাজায় নিলা কারে পরায় মালা।
তোমার প্রেমের পথিক প্রেমী আমি যে দেওয়ানা
মনের নিখিল প্রাণের প্রীতি, তবু কেন একা,
নীলচে কাঁচে রাখবো তোর ঐ শহরটাকে ঢেকে
আমার দু'চোখ ভিজুক না হয় ঝাপসা মেঘের শোকে।।
তুই শ্মশান ঘাটের পোড়া লাশের
কাছেও কেন দোষী ?
কবরে ওই পোতা লাশের করুণ বিস্মৃতি,
তুই হৃদয় ভূমির মধ্যখানের অচল কোন স্মৃতি
অসীম আকাশ শুন্য করা অশুভ রাজনীতি।
আমার সাজের বেলায় কেন ঘন কালোর মেলা
তোমার সন্ধ্যে সাজায় নিলা কারে পরায় মালা।
তোমার প্রেমের পথিক প্রেমী আমি যে দেওয়ানা
মনের নিখিল প্রাণের প্রীতি, তবু কেন একা,
নীলচে কাচে রাখবো তোর ঐ শহরটাকে ঢেকে
আমার দুচোখ ভিজুক না হয় ঝাপসা মেঘের শোকে।।